'অলিম্পিক লরেল' জয়ের পথে ডঃ মোহাম্মদ ইউনূস
টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনবে বিশ্ব। তবে সেটা কোনো খেলোয়াড়ের মাধ্যমে নয়, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ঘিরে। টোকিও গেমসে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক অলিম্পিক লরেল সম্মাননা পাচ্ছেন ৮১ বছর নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। টোকিও গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুলে দেয়া হবে এই সম্মাননা। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের জনক ও গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড.ইউনুস ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
‘অলিম্পিক লরেল’ পদক মূলত তাদেরকেই প্রদান করা হয় যারা শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখেন।
সেই লক্ষ্যে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ‘অলিম্পিক লরেল’ পদক দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। সেবার রিও অলিম্পিকে এই সম্মানজনক পদক দেওয়া হয় কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপ কেইনোকে।
কিপ কেইনোর পর ড. ইউনূস হতে যাচ্ছেন ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি। আইওসির বিবৃতি অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুলাই ২০২১ অলিম্পিক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস “অলিম্পিক লরেল” পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
অলিম্পিক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) পক্ষ থেকে পুরস্কারটি প্রদান করবে। সারা বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখবেন।
এ ব্যাপারে অলিম্পিক প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বলেন, “প্রফেসর ইউনূস আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। ” তিনি আরও বলেন, প্রফেসর ইউনূস তাঁর সামাজিক ব্যবসায়ের ধারণাকে ক্রীড়া জগতে উন্নয়নের জন্য কাজ করার জন্য এই সম্মান পাবেন।
১৯৮০ সালে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. ইউনূস। এরপর ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। প্রফেসর ইউনূসের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব’। এর মাধ্যমে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার মাধ্যমে উন্নতির পথকে আরও সহজের চেষ্টা করে।
এর আগে ২০১৬ সালে ব্রাজিলে রিও অলিম্পিকে মশাল বহন করেন ড. ইউনূস। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমন বিরল সম্মান অর্জন করেন।
No comments