সাইকোডেলিক মাদক "এলএসডি"
২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক সবচেয়ে বেশি উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা, হেরোইন, কোকেন, আফিম, গাঁজা ও ফেনসিডিল। বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় উল্লিখিত সময়ে ৭ লক্ষাধিক মামলায় ১০ লক্ষাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। উদ্ধারের চিত্র থেকেই স্পষ্ট, দেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বিস্তার কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
গত বুধবার (২৬ মে) রাজধানীর লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি থেকে সাদমান সাকিব রুপল,আসহাব ওয়াদুদ তূর্য ও আদিব আশরাফ কে আইনের কবলে আনা হয়।তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় এলএসডির ২০০ ব্লট।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাদমান জানান, তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগাযোগ করে টিম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি আনেন।
প্রথমদিকে ‘আপনার আব্বা’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে সাদমান ও তার তিন বন্ধু এলএসডি বিক্রি করছিলেন।পরে ‘বেটার ব্রাউনি অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নামে আরেকটি গ্রুপ খোলেন। এসব গ্রুপ থেকে তারা গাঁজার নির্যাস মিশ্রিত কেকও (ব্রাউনি) বিক্রি করেন।এই মাদকদ্রব্য মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। চাহিদা থাকায় বর্তমানে অলিগলিতে তৈরি হচ্ছে মাদকদ্রব্য। নিষিদ্ধ মাদক যেহেতু গোপনে বিক্রি হয়, সেহেতু এসব যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ থাকে না।এমন দামি মাদক যারা ক্রয় করবে,স্বভাবতই তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়বে।কাজেই মাদকের প্রবেশ ও ব্যবসা রোধে কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
No comments