ঘুড়ির শক্তিতে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি।
পর্তুগিজ দুঃসাহসী এক অভিযাত্রী একটি ঘুড়ির শক্তি ব্যবহার করে ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের পথ; আটলান্টিক সাগর পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং সফলভাবে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। এ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল মোট ২৫ দিন।
শুধু ঘুড়ির শক্তিতে ছোট্ট নৌকা চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিলেন পর্তুগিজ এক কাইটসার্ফার। মহাসাগরে প্রায় ৪ হাজার মাইল সফলভাবে পাড়ি দিতে সক্ষম হন।
গত নভেম্বর ৩ তারিখে লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন ফ্রান্সিসকো। ৩৮ বছর বয়সী এই অভিযাত্রির যাত্রাপথে তার সম্বল ছিল ছোট্ট একটি ঘুড়ি চালিত নৌকা আর মাত্র ১৫ লিটার খাবার পানি।
সমুদ্র যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ফ্রান্সিসকো বলেছেন, ‘এটা একটা দারুণ চ্যালেঞ্জ ছিল। পানি নিয়ে সমস্যা হয়েছে। নৌকার তেতরে ঢুকে পড়ছিল পানি। তবে আমি সবকিছু সামলে নিয়েছি’।
ছোট্ট একটি ককপিট আকৃতির কেবিনেই দিন পার হয়েছে এই কাইটসার্ফারের। ঘুড়ির সাহায্যে চালানো নৌকাটিতে আটলান্টিকের ৬৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন ফ্রান্সিসকো। তার নৌকার শক্তির উৎস ছিলো সৌর বিদ্যুৎ, আর ঘুড়িগুলোকে তিনি উড়িয়েছেন রিমোট কন্ট্রলের মাধ্যমে যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৩০ কি.মি.।
ফ্রান্সিসকোর এই সমূদ্র যাত্রা শেষ করতে মোট ৪৭ দিন সময় লাগলেও তাকে নৌকা বাইতে হয়েছে মাত্র ২৫ দিন। কারণ, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ক্যানারি দ্বীপে প্রায় ২২ দিন যাত্রাবিরতি নিতে হয় তাকে।
যাত্রাপথে ফ্রান্সিসকো প্রয়োজনীয় খাবার পানির চাহিদা মিটিয়েছেন একটি হ্যান্ড পাম্প দিয়ে যা সাগরের লবণাক্ত পানিকে বিশুদ্ধ খাবার পানিতে পরিণত করতে পারে।
ফ্রান্সিসকো বলেন, ‘আমি পান করার জন্য মাত্র ১৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি নেই। তাও জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে বা শেষ দিনগুলোর জন্য। বিশুদ্ধ পানি তৈরী করতে আমার ওয়াটারমেকার ব্যবহার করতে হয়।
ঘুড়ির নৌকায় দ্রুততম সময়ে আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে চান এই কাইটসার্ফার।
No comments