রৌপ্য নিলামে তুলে শিশুর চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ
৮ বছরের এক শিশুর চিকিৎসার জন্য অলিম্পিকের পদক বিক্রি করে দিলেন পোল্যান্ডের অ্যাথলিট মারিয়া আন্দ্রেজিক। এই পোলিশ অ্যাথলিট এবার টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোতে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুটি নতুন জীবন ফিরে পাবে এমন প্রত্যাশা মারিয়া আন্দ্রেজিকের।
মারিয়া আন্দ্রেজিক। পোল্যান্ডের ২৫ বছর বয়সী নারী অ্যাথলিট। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে আলো ছড়ানো এই পোলিশ অ্যাথলিট জ্যাভলিন থ্রোতে বেশ পারদর্শী। যদিও ২০১৬ রিও অলিম্পিকে মারিয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সেবার মাত্র দুই সেন্টিমিটারের জন্য জ্যাভলিন থ্রোতে পদক জিততে পারেননি তিনি।
২০১৭ সালে কাঁধের ইনজুরির জন্য খেলা থেকে দূরে সরে থাকতে হয় তাকে। পরের বছর বোন ক্যানসারে আক্রান্ত হন এই তারকা অ্যাথলিট। অবশ্য সুস্থ হয়ে ট্র্যাকে ফিরেই প্রত্যাশার প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঘটালেন টোকিও অলিম্পিকে। তার অধরা স্বপ্ন 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন' আর্থে ছুঁয়ে ফেলেন মারিয়া। ৬৪ দশমিক ছয় এক মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে জিতে নেন রৌপ্য পদক।
অলিম্পিক শেষে দেশে ফিরেই মানবিকতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই পোলিশ অ্যাথলিট। এক শিশুর চিকিৎসার জন্য নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান অলিম্পিক পদক বিক্রি করে দিলেন মারিয়া। নিজের সন্তান নয়, শিশুটিকে আগে থেকে চিনতেনও না তিনি। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনায় হৃদরোগে আক্রান্ত এই শিশুটির জন্য নিজের কষ্টের অর্জন অলিম্পিকের পদক নিলামে তুলে অর্থ সংগ্রহ করলেন মারিয়া আন্দ্রেজিক।
এক সময় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে মারিয়াকে। তাই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে এতটুকু বেগ পেতে হয়নি এই জ্যাভলিন থ্রোয়ারের। শিশু পোলের জীবনের মূল্য মারিয়ার কাছে ছিল পদকের চেয়ে বেশি দামি। বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিলোসজেকের রোগের কথা জানেন আন্দ্রেজিক। অনেক দিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিল শিশুটি। যেখানে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। আট বছরের শিশুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে অলিম্পিকের পদক নিলামে তোলেন মারিয়া। নিলামে মারিয়া আন্দ্রেজিকের পদকটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির সুস্থতা কামনা করে মারিয়া লেখেন, মিলোসজেকের হৃদরোগের সমস্যাটা খুবই গুরুতর। তার সুস্থতা কামনা করেন অলিম্পিকে পদকজয়ী এই তারকা অ্যাথলিট।
No comments